বরিশালে ব্যবসায়ীদের মারধর করে দোকানে তালা মারলো অস্ত্রধারীরা
বরিশাল নগরীর চকবাজার এলাকায় রাতের আধারে ৪টি কাচামালের আড়তে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে ব্যবসায়িদের মারধর করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ঘটনার পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ব্যবসায়িরা।
এমতাবস্থায় দোনকানের ভেতরে থাকা কাচামাল পচনের আশঙ্কায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে- চকবাজর পোল সংলগ্ন পিয়াজপট্টির মুখের ৪টি কাচামালের আড়ত তালাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ওপরে একটি সাইনবোর্ডও টাঙিনো রয়েছে। এতে মো. মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি মোবাইল নম্বার তুলে ধরে নিজেকে জমির মালিক দাবি করেছেন।
৪টি আড়ত মালিক মো. আজাদ, উত্তম কুমার সাহা, জয়ন্ত কুমার সাহা ও মিজানুর রহমান জানিয়েছেন- বুধবার রাত ১০টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন স্বসস্ত্র অবস্থায় উপস্থিত হয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এসময় জানতে চাইলে তারা ভবন মালিক দাবি করে আড়ত ছেড়ে ফের বেড়িয়ে যেতে বের।
কিন্তু কেউ না বের হলে তাদের মারধর করে বের করে দিয়ে আড়তে তালা ঝুলিয়ে চলে যায় অস্ত্রধারীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ি খলিল জানিয়েছেন- মেহেদী হাসান মুরাদ নামে ওই ব্যক্তি ভবন মালিকের কাছ থেকে আড়তের জমি কিনেছেন দাবি করেছিলেন। কিন্তু তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
তবে জমি মালিক দাবিদার মেহেদী হাসান মুরাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মালিকের ছেলের কাছ থেকে কিনেছেন বলে দাবি করছেন।
অথচ ভবনের প্রকৃত মালিক বাবু সোনা ও তার ভাই পরশের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারাও অস্ত্রধারীদের চিনতে পারছেন না। যে কারণে বৃহস্পতিবার চকবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এবায়দুল হক চান ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন হাওলাদারের উপস্থিতে তালা ভেঙে ফেলেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে জমি মালিক দাবিদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।’’
একই প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন মামুন জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
No comments:
Post a Comment