বেশ কিছুদিন ধরেই পারিশ্রমিক এবং রাজস্ব বন্টন সংক্রান্ত কারণে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ঝামেলা চলছে সে দেশের ক্রিকেটারদের। এই বিরোধের জের ধরেই বোর্ডের সাথে চুক্তি করেননি প্রায় ২০০ এর বেশি ক্রিকেটার।
এমনকি বাতিল করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকার সফরও। এর ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সিরিজটিও। তবে, ধীরে হলেও অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটে যাওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
দুই পক্ষই আশা করছে, এই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য। আর এতে করে প্রাণ ফিরে পাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। নিজেদের কট্টর অবস্থান থেকে সড়ে এসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা আশা করছেন, পূর্ব সূচি অনুয়ায়ীই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সিরিজ সহ অ্যাশেজ।
‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয়, এ বিষয়ে যথেষ্ট জল ঘোলা হয়েছে। এখন সমাধানে আশা দরকার। আমি আশা করছি, এসিএ কিছুটা নমনীয় হবে, আর এই সপ্তাতেই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব আমরা।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক মার্ক টেলর বলেছেন, এই সমস্যার সমাধানে দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে। সামনে ব্যাস্ত সূচি তাই যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।
মার্ক টেলরের ভাষ্যমতে, ‘দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে। আমার মনে হয়, বিবাদ সমাধানের এটাই সর্বোচ্চ সময়। ক্রিকেটার্স অ্যাসেসিয়েশনকেও বিষয়টি বুঝতে হবে। সামনে বেশ ব্যস্ত সময় রয়েছে আমাদের। আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। আশা করছি, ইতিবাচক সমাধান হবে।’
গত এপ্রিলে ক্রিকেটারদের প্রায় ৩৫ শতাংশ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা আরও বেশি হওয়ায় এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তারা। ইংল্যান্ড-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা তাদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছে অভিযোগ করে আরো বেশি পারিশ্রমিকের দাবি জানায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসেসিয়েশন (এসিএ)।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডও তাদের অনড় অবস্থান থেকে সড়ে আসেনি। ফলে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই শতাধিক ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হন। সর্বশেষ তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘এ’ দলের সফরও বয়কট করেন। ফলে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর ও অ্যাশেজ।
উল্লেখ্য, আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। সিরিজটি নিশ্চিত না হলেও। এই মিশনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ফিটনেস ক্যাম্পে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ব্যস্ত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment