Saturday, June 24, 2017

শাকিব খান-আজিজ আজীবন নিষিদ্ধ

চিত্রনায়ক শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ ও অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে নিষিদ্ধ করেছেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা। শুক্রবার এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন ১৭টি এফডিসি ভিত্তিক সংগঠনের এই মোর্চা।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
তিনি বলেন, ‘দেশীয় চলচ্চিত্র ধ্বংসের প্রক্রিয়ায় যারা নেমেছে, তাদের আমরা আমাদের সিনেমার উঠানে ঢুকতে দেব না। অফিস খুললে ওদেরকে লিখিত চিঠি পাঠানো হবে। কিন্তু আজ এই মুহূর্ত থেকে ওরা এফডিসিতে নিষিদ্ধ।’
তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনের আহ্বায়ক গুলজার বলেন, ‘যে চলচ্চিত্র শিল্প বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন তা নিয়ে মশকরা করছেন তথ্যমন্ত্রী। আমরা ভেবেছিলাম তিনি চলচ্চিত্র বাঁচাতে সহায়ক হবেন। কিন্তু তিনি আসলে চলচ্চিত্র ধ্বংসের সহায়ক। বারবার তিনি ভারতীয় ছবির বাজার এই দেশে তৈরির ষড়যন্ত্রে জড়িত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি আমাদের বাঁচান। এই চলচ্চিত্রের অভিভাবক আপনি। আমাদের কথায় নয়, সবকিছু যাচাই করে আপনিই আপনার তথ্যমন্ত্রীর অনেক ভুল পাবেন। সেই মতো ব্যবস্থা নিন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তথ্যমন্ত্রীর অধীনে আর কোনো অনুষ্ঠান সম্মেলনে যাবে না চলচ্চিত্র পরিবার। তার কোনো আদেশ নিষেধ মানা হবে না। তাকে এবং তার দোসরকে এই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ১৭টি সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আলমগীর, ফারুক, রোজিনা, অঞ্জনা, আলীরাজ ও রিয়াজ। ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, নৃত্যশিল্পী সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুলসহ ১৭ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘বস-২’ ও ‘নবাব’ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকার চলচ্চিত্র অঙ্গন। সিনেমা দুটি যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি দাবি করে তাদের মুক্তি ঠেকাতে আন্দোলন করছে ১৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার। অন্যদিকে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজসহ সিনেমাহল মালিকরা চেষ্টা করছেন সিনেমা দুটি মুক্তি দিতে।
দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি নানা কর্মসূচি পালন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘বস-২’ ও ‘নবাব’। এরপর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

ঈদের জামা সেলাই করাতে টেইলার্স যাওয়ার পর, টেইলর মানা করে দেয় আপুটিকে... অতঃপর :3

ঈদের জামা সেলাই করাতে টেইলার্স যাওয়ার পর, টেইলর মানা করে দেয় আপুটিকে...
অতঃপর 
https://web.facebook.com/Hits.Viral/videos/749213145263293/

Thursday, June 22, 2017

নারীর টানে বাড়ি ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বাড়ি যেতে শুরু করেছেন বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌপথের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল থেকে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এ সময় যাত্রীদের চোখে-মুখে বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

যাত্রীরা জানান, ঝক্কি-ঝামেলা যতই হোক, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পারার আনন্দই আলাদা। তাই বাড়িতে অপেক্ষমাণ স্বজনদের কাছে ছুটছেন তাঁরা।
সদরঘাট টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ১৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো যাত্রীতে পূর্ণ ছিল।
যাত্রীদের ভিড়ে সদরঘাটও এখন জমজমাট। লঞ্চ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই যাত্রীরা টার্মিনালে আসছেন।
ভোলা নৌপথের শাহরুখ ১ লঞ্চে বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, ডেকে ফাঁকা জায়গা নেই।
সদরঘাটে আসা ইসমত আরা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, তাঁর গন্তব্যের লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। কিন্তু ঝুঁকি এড়াতে তিনি সকালেই ঘাটে চলে এসেছেন।
নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রী হয়রানি ও বিশৃঙ্খলা রোধে টার্মিনাল ও নদীতে তাঁদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার (যাত্রী পরিবহন) ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বলেন- যাত্রীরা নির্ঝঞ্ঝাটে যেতে পারছেন। ভালোই যাত্রী আছেন। কাল শুক্রবার (২৩ জুন) যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে পারে।’’

Monday, June 12, 2017

১০৬*, ৪১*, ১৫*, ৬৪, ১৩৪*, ৬১*, ৫৬*। সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্যাট হাতে এমন তাক লাগানো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন নাসির হোসেন। একদিকে নাসির কেন জাতীয় দলে নেই-এই প্রশ্নে গলা ফাটাচ্ছে তার সমর্থকরা। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরাদের একজন নাসির। ঝুলিতে পুরেছেন নজরকাড়া ব্যাটিং গড়ও। তাই ঘরে বাইরে এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আলোচনার নাম নাসির হোসেন।

জাতীয় দল, ডাক না পাওয়া, বর্তমান সময়, ঢাকা লিগ, ব্যাটিং, বোলিং আর বিয়ে নিয়ে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের এই তারকা অলরাউন্ডার। 
****: ঢাকা লিগে ৮ ম্যাচে ৪৮০ রান। এর মধ্যে ৬টা নট আউট। ব্যাটিং গড় ২৪০। এককথায় অবিশ্বাস্য। কেমন লাগছে এমন পারফর্ম করে?
নাসির: অবশ্যই ভালো লাগছে। আসলে ভালো খেললেই ভালো লাগে। ভালো খেলার পর যদি দল চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে প্রাপ্তির খাতাটা আরও ভারী হয়। আনন্দটাও বেড়ে যায়। যেটা বলে বোঝানো যায় না। আমি যখনই ভালো ক্রিকেট খেলি, মনটা বেশ ভালো থাকে।
****: বর্তমানে আপনি জাতীয় দলে অনিয়মিত। যখন জাতীয় দলে থাকেন না তখন সময়টা কীভাবে উপভোগ করেন?
নাসির: সব খেলাই আমি উপভোগ করি। আসলে খেলাধুলা মানেই উপভোগের বিষয়। বিশেষ করে ক্রিকেট। জাতীয় দলে না থাকলেও ঘরোয়া লিগ, অনুশীলন, এককথায় ক্রিকেট নিয়েই আছি। ক্যারিয়ারের এ সময়টাও খারাপ যাচ্ছে না। উপভোগ করছি।
****: ঘরোয়া লিগে এত ভালো করেও জাতীয় দলে আপনার জায়গার অভাব। এ নিয়ে কোনো আফসোস বা আক্ষেপ হয় না?
নাসির: দেখেন জাতীয় দলে খেলা কিংবা থাকা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। যতক্ষণ থাকি সব সময়ই ভালো পারফরম্যান্সের চেষ্টা করি। তাছাড়া একটা মানুষের জীবনে উত্থান-পতন থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই এটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস বা আক্ষেপ নেই।
****: সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে খেলেছেন। কেমন ছিল সেই দিনটি?
নাসির: ওই দিনটার কথা বলতে গেলে আমি খানিকটা চাপেই ছিলাম। চাপ নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামি। আট-নয় মাস পর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে নামলাম। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা কেন জানি নতুন নতুন লেগেছিল। প্রথম দিকে একটা ক্যাচ মিস করেছি, প্রথম ওভার ভালো বোলিংও করিনি। চাপটা আস্তে আস্তে কেটে যায়। যেই সুবাদেই পরের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং করে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেই।
****: ফেসবুক খুললেই ভক্তদের একটাই প্রশ্ন, নাসিরকে দলে চাই। আপনার প্রতি ভক্তদের এতটা ভালোবাসা, কী বলবেন তাদের নিয়ে?
নাসির: আসলে ভক্তদের প্রতি আমিও দায়বদ্ধতা বোধ করি। তারা যে আমাকে এত ভালোবাসে সেটা আমি বুঝি। আমি আমার চেষ্টা করছি। একদিন ভক্তদের চাওয়া অবশ্যই পূর্ণ হবে। আমার প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান অবশ্যই পাবে তারা। 
****:  এই মুহূর্তে জাতীয় দলে ঢোকার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত?
নাসির: চ্যালেঞ্জ থাকবেই। জাতীয় দল বলে কথা, যেখানে সবারই চোখ থাকে। পারফর্ম করেই আমাকে দলের জার্সি গায়ে জড়াতে হবে। দলে যারা আছেন, তাদের চেয়ে ভালো কিছু করেই তবে জাতীয় দলে যেতে হবে। সে পথেই এগোচ্ছি। আশা করছি, ভালো করেই আমি ফিরবো।
****: কয়েক দিন আগে সৌম্য সরকার বলেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বিয়ে করবেন। আপনি নিজের ব্যাপারে কিছু ভাবছেন?
নাসির: বিয়ে নিয়ে আপাতত ভাবছি না।
****: এবারের ঈদ কোথায় করবেন, ঢাকায় নাকি রংপুরে?
নাসির: ঈদ রংপুরেই করব।
****: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নাসির: আপনাকে এবং ঢাকাটাইমসকেও ধন্যবাদ।

Friday, June 9, 2017

ম্যাচের শুরুতে এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা

বছরের এই সময়টাতে ব্রিটেনের আবহাওয়া ভালোই খাকে। কিন্তু এবার নাকি অন্যরকম। জুনের শুরুতে গরম শুরু হলেও এবার কনকনে ঠান্ডা। আর গত ১০ দিনে তো মেঘ আর বৃষ্টির দৌরাত্ম্যই দেখেছি। তবে গতকালের আবহাওয়া ছিল সবচেয়ে খারাপ। কার্ডিফে প্রায় সারাদিনই বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টির কারণে গতকাল কোনও দলই মাঠে প্র্যাকটিস করতে পারেনি।

তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিলেন ব্রিটিশ জনগণ। ক্রিকেট কাভার করতে এসেছি, তবে ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচন নিয়েও বেজায় কৌতূহল ছিল। বিকালে এবং সন্ধ্যায় অনেক ভোট কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখেছি আর অবাক হয়েছি। এ দেশেরও নির্বাচন, আর আমাদের দেশের নির্বাচন!
লেবার পার্টির স্থানীয় প্রার্থীর বাড়িতে গিয়েছি। তার বাসায় গিয়ে দেখি তার আশেপাশে একজন কর্মীও নেই। বাসায় তিনি এবং তার স্ত্রী বসে টিভি দেখছিলেন। তাদের বিনয়ী আচরণে মুগ্ধ হয়ে বাসায় ফিরে এলাম। ভাবলাম, আমাদের দেশের নেতারা তো এই দেশে আসেন, এসব দেখেন, তবে কেন শিক্ষা নেন না? কেন তারা দেশের কথা ভাবেন না, মানুষের কথা চিন্তা করেন না?
বাংলাদেশিরাই শুধু নন, সব বিদেশিই লেবার পার্টিকে ভোট দিয়ে থাকেন। এবারও দিয়েছিলেন। যতটা আশা করা হয়েছিল লেবার পার্টি ততোটা সিট পায়নি। আজ সকালে তাই মন খারাপ নিয়েই বাংলাদেশিরা ঘুম থেকে উঠলেন।
আজ বাংলাদেশের জয় অবশ্য তাদের মন ভালো করে দিতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। আজ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে, একদিকে যেমন জয়খরা ঘুচবে, তেমনি সেমির আশাও বেঁচে থাকবে।
কিন্তু বৃষ্টি ম্যাচ হতে দিবে তো? গতকাল সন্ধ্যার পর অবশ্য আর বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আকাশে এখনও মেঘের আনাগোনা। ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায়। আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস তাতে বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি হতে পারে। বাকি দিনের আবহাওয়া মোটামুটি ভালোই থাকবে। ওভার কমতে পারে, ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে যেতে পারে। কিন্তু ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

Thursday, June 8, 2017

আজ হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত শ্রীলঙ্কার। কিন্তু না। আজই তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়নি। বরং ভারতকে সাত উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। সেই সাথে টুর্নামেন্টকে জমিয়ে তুলেছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল।

গ্রুপ ‘এ’ থেকে ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রুপ ‘বি’ থেকে এখনও কারও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়নি। চারটি দলই ইতোমধ্যে দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে প্রত্যেকেই একটি করে জয় পেয়েছে। চারটি দলেরই এখন সেমিফাইনালে খেলার আশা বেঁচে আছে। প্রত্যেকটি দলের আর একটি করে ম্যাচ বাকি আছে।
এখন সেমিফাইনালে খেলতে হলে ওই ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না। নেট রান রেটেরও একটি বিষয় থাকবে। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আগামী ১১ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। আর আগামী ১২ জুন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে বৃহস্পতিবার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ভারতের দেয়া ৩২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে দানুশকা গুনাথিলাকা ৭৬, কুসল মেন্ডিস ৮৯, কুসল পেরেরা ৪৭, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৫২ ও আসেলা গুনারত্নে ৩৪ রান করেন। ভারতের পক্ষে ভুবনেশ্বর কুমার ১টি উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কা আজ ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন নিরোশান ডিকওয়েলা। ১৮ বল খেলে সাত রান করেন তিনি।
এরপর দানুশকা গুনাথিলাকা ও কুসল মেন্ডিস জুটি বেঁধে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শ্রীলঙ্কার উইকেটের পতন ঘটাতে না পেরে এক পর্যায়ে হাতে বল তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
আর এই ওভারেই উইকেটের পতন হয় শ্রীলঙ্কার। দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান দানুশকা গুনাথিলাকা। ৭২ বল খেলে ৭৬ রান করেন তিনি। গুনাথিলাকা ও মেন্ডিস ১৫৯ রানের পার্টনারশীপ গড়েন।
দানুশকা গুনাথিলাকার পর রান আউট হয়ে ফেরেন কুসল মেন্ডিস। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে তিনি করেন ৮৯ রান। তারপর কুসল পেরেরার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ইনজুরিতে পড়ায় ৪৩তম ওভারে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন কুসল পেরেরা। ফেরার আগে ৪৪ বল খেলে ৪৭ রান করেন তিনি।
এরপর আসেলা গুনারত্নে নেমে একটি ঝড়োয়া ইনিংস খেলেন। ২১ বল খেলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ অপরাজিত থাকেন ৫২ রান করে।  
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের পক্ষে শিখর ধাওয়ান ১২৫, রোহিত শর্মা ৭৮ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ৬৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে লাসিথ মালিঙ্গা ২টি, সুরঙ্গা লাকমল ১টি, নুয়ান প্রদ্বীপ ১টি, থিসারা পেরেরা ১টি ও আসেলা গুনারত্নে ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: সাত উইকেটে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ভারত ইনিংস: ৩২১/৬ (৫০ ওভার)
(রোহিত শর্মা ৭৮, শিখর ধাওয়ান ১২৫, বিরাট কোহলি ০, যুবরাজ সিং ৭, মহেন্দ্র সিং ধোনি ৬৩, হার্দিক পান্ডে ৯, কেদার যাদব ২৫*, রবীন্দ্র জাদেজা ০*; লাসিথ মালিঙ্গা ২/৭০, সুরঙ্গা লাকমল ১/৭২, নুয়ান প্রদ্বীপ ১/৭৩, থিসারা পেরেরা ১/৫৪, দানুশকা গুনাথিলাকা ০/৪১, আসেলা গুনারত্নে ১/৭)।
শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ৩২২/৩ (৪৮.৪ ওভার)
(নিরোশান ডিকওয়েলা ৭, দানুশকা গুনাথিলাকা ৭৬, কুসল মেন্ডিস ৮৯, কুসল পেরেরা ৪৭, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৫২*, আসেলা গুনারত্নে ৩৪*; ভুবনেশ্বর কুমার ১/৫৪, উমেশ যাদব ০/৬৭, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ০/৫২, হার্দিক পান্ডে ০/৫১, রবীন্দ্র জাদেজা ০/৫২, কেদার যাদব ০/১৮, বিরাট কোহলি ০/১৭)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: কুসল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)

মওদুদের বাড়ি ও ৫০টি লিচু




যেদিন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে তার দীর্ঘ দিনের আবাস ছাড়তে হল সেদিনই ৫০টি লিচু কিনে বাড়ি ফিরলাম। কেনার কোনো ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু অনেক রাতে বেচারা বিক্রেতা কতগুলো ফল নিয়ে বসেছিলেন। জানালেন, পথে যানজটে দেরি হয়ে গেছে, তাই বিপাকে পড়েছেন। অনুরোধ করলেন অল্প হলেও যেন কিনি।
অন্য বছর এই সময়ে আম-লিচুতে ঘর ভর্তি থাকে। কিন্তু সন্তানসম্ভাবা স্ত্রী প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিকে আক্রান্ত, তাই মিষ্টি জাতীয় জিনিস কেনা হয় না। তবু বিক্রেতার মুখ চেয়ে অল্প কয়েকটা কিনলাম। দাম চাইলেন ১৫০ টাকা। আর কম বলতে ইচ্ছে হল না। বাড়িতে ফলগুলো নিতে নিতে ভাবলাম, বেচারা লিচু বিক্রেতা যদি এই টাকায় গুলশানে দুই বিঘা আয়তনের একটি বাড়ি কিনে নিতে পারে তাহলে তো ভালই।
ভাবছেন পাগলের প্রলাপ বকছি? ১৫০ টাকায় দুই বিঘা আয়তনের বাড়ি? শায়েস্তা খাঁর আমলেও এটা পাওয়া যেত কি না, সেই হিসাব কষতে শুরু করেছেন? তাহলে শুনুন। এই রাজধানীতে গুলশান-২ নম্বরে এক বিঘা ১৩ কাঠার একটি জমি ১০০ টাকায় কিনে নেয়ার গল্প সাজিয়েছিলেন এক জন। মামলায় হেরে ৩০ বছর পর সেই বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবু তিনি বলেছেন, সরকার তার বাড়িটি নিয়ে গেছে। অভিমানী কণ্ঠে একবার এমনও বলেন, তিনি রাতে ফুটপাতে থাকবেন। তার দলের প্রধান তার কাছে ছুটে গিয়ে শান্তনা দিয়েছেন, বলেছেন ধৈর্য ধরতে, হুমকিও দিয়ে রেখেছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে, জনগণ একদিন এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেবে বলে।
বাহ কি সুন্দর তাই না? ১০০ টাকায় বাড়ি কেনার এই নাটক সাজিয়েছিলেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। আসলে তিনি নিজের নামে কেনেননি বাড়িটি, মালিকানা স্বত্ত্ব করা হয়েছিল তার ভাই মনজুর আহমদের নামে। তবু তিনি বলেছেন, তার বাড়ি কেড়ে নেয়া হল। মওদুদ সাহেবের ভাই কোথায় আছেন জানি না। যদি এটা তার ভাইয়ের বাড়ি হয়েও থাকতো, তাহলে তিনি কোন হিসাবে বললেন, তার বাড়ি কেড়ে নেয়া হয়েছে?

চার বছর আগে এই বাড়ি বিক্রির নয় ছয় নিয়ে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ১০০ টাকায় গুলশানে বিরাট জমিসহ বাড়ি কেনাবেচার দলিল নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা যায়, সেটা বুঝতে এতগুলো বছর পার করে দিল আমাদের প্রশাসনের কর্মীরা!
এমনকি গণমাধ্যমেও এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন হয়নি। উচ্চ আদালতের রায়ের পর গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই বাড়ির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে তিনি ওই বাড়ির মালিকানা পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ছাড়েন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।
ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। কিন্তু ইনজে মারিয়া প্লাজের মৃত্যুর পর ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে মওদুদের ভাই মনজুর আহমদের নামে ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়। ২০১৩ সালে দুদক মামলা করার পর শুরু হয় আইনি লড়াই।
উচ্চ আদালত পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই লড়েছেন মওদুদ। আইনজীবী হিসাবে প্রতিটি আইনি সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। মামলায় হেরেছেন, তারপর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর তিনি আবার ‍হুমকির সুরে বলেছেন, ‘দেশে কি কোনো আইন নেই?’।
মওদুদ সাহেবরা ক্ষমতায় থাকতে কতই না আইন বানিয়েছেন, ১০০ টাকায় গুলশানে জমি ও বাড়ি কেনা বেচা করা যায়-এমন আইন করে নিলেই তো পারতেন। তাহলেই তো বাজারমূল্যে ৩০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি টাকার জমি ১০০ বা ১ টাকায় নিজের করে নিতে পারতেন তিনি।

হ্যাঁ, গুলশানের সেই জমির দাম কমসে কম ৩০০ কোটি টাকা। প্রতি কাঠা জমির দাম সেখানে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বিঘা ১৩ কাঠার জমির দাম এই বিপুল পরিমাণ টাকাই হয়ে থাকে। এটা কি দুর্নীতি নয়? ৩০০ কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অপরাধে মওদুদ সাহেবকে কোনো শাস্তি পেতে হবে না?
মওদুদ সাহেবকে চেনে না এমন মানুষের বুঝি অভাব রয়েছে এই দেশে। কারণ, তিনি পল্টিবাজ হিসেবে খ্যাত। আসলে ঠিক পল্টিবাজ বলা যায় কি না, তিনি সব সময় ক্ষমতার আশেপাশে থাকতে পছন্দ করেন। ক্ষমতার দল পাল্টালেও তার নীতি কখনও পাল্টায় না।
তবে হ্যাঁ, মওদুদের এই ক্ষমতার আশেপাশে থাকার নীতি গত ১১ বছর ধরে কিছুটা পাল্টেছে বলা যায়। এই সময়ে তার দল বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। তবু তিনি দলে রয়ে গেছেন। নানা সময় নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটি সত্য প্রমাণ হয়নি। তবে মওদুদের আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা এতদিন সেভাবে প্রকাশ পায়নি। এবার তো আদালতে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হল। রাজনীতির ময়দানে এই ধরনের দুর্বৃত্তপনা কি চলতেই থাকবে? বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে মওদুদ সাহেবকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তার কী মানে? ক্ষমতায় ফিরতে পারলে কি এই জমি আর বাড়ি আবার ফিরিয়ে দেয়া হবে? সেই লিচু বিক্রেতার নাম জানি না, তাকে নিয়ে আসবো, ২০০ টাকাসহ। তাকেও কিন্তু এমন একটি বাড়ি দিতে হবে।

Tuesday, June 6, 2017

মোবাইল থেকে ডিলেট হওয়া ছবি বা ডকুমেন্টস ফিরিয়ে আনার নিয়ম

মোবাইল থেকে ডিলেট হওয়া ছবি বা ডকুমেন্টস ফিরিয়ে আনার নিয়ম

প্রায়ই আমরা ভুলবশত মোবাইল থেকে বিভিন্ন ছবি ডিলেট করে ফেলি। অনেক সময় ভুল করে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে ফেলি। এতে করে স্মার্টফোন থেকে হারিয়ে যাও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সহ প্রয়োজনীয় অনেক অনেক ছবি। স্মার্টফোনে স্টোর থাকা বহু কিছুর ভিড়ে আমরা বুঝতে পারি না যে আসলে কোন ফোল্ডারটা কাজের আর কোনটা অকাজের। অনেক সময়ে দেখা যায় কাজের জিনিসগুলোই ডিলেট হয়ে গিয়েছে।
যেহেতু স্মার্টফোনের জগতে এখন রাজত্ব করছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। তাই এখানে আমরা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের রিকভারী প্রসেস নিয়ে কথা বলবো। বিস্তারিত পড়ে জেনে নিন, কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন আপনার ফোন থেকে ডিলেট হওয়া ফাইল, ফটো বা ভিডিও !
প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে, ডিলেট হব‍ার পূর্বে ‍আপনার ফাইলগুলো কোন স্টোরেজে ছিলো ! ফাইলগুলো যদি মেমোরি কার্ড থেকে ডিলেট হয়, তাহলে রিকভার করতে তেমন একটা অসুবিধা নেই।

মেমোরি কার্ড থেকে ডিলেট হওয়া ফাইল রিকভ‍ার কর‍ার নিয়ম

  • গুগল প্লে-স্টোর থেকে পছন্দমত ‍’ফাইল রিকভারী সফটওয়্যার’ ডাউনলোড করে নিন। এরমধ্যে ‘রেকুভা’ (Recuva) সফটওয়্যারের বেশ সুনাম রয়েছে।
  • প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আগে অন্য কোথাও কপি বা ব্যাক‌আপ করে রাখুন। যাত রিকভারের সময় ভুলবশত সব ফাইল ডিলেট হয়ে না যায়।
  • ব্যাকআপ সম্পন্ন হলে সফটওয়্যারটি ওপেন করে মেন্যু থেকে SD Card সিলেক্ট করুন।
  • ডিলেটকৃত ফাইলগুলোর একটি তালিকা আসবে। এখান থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল বা ছবিগুলো রিকভার করা শুরু করুন।

ফোন মেমোরি থেকে ডিলেট হওয়া ফাইল রিকভ‍ার কর‍ার নিয়ম

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি বা ফোন মেমোরি থেকে ছবি অথবা ভিডিও ডিলেট হলে তা রিকভার করা বেশ ঝামেলার বিষয়। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা হলেও আশা জোগাতে পারে ‘ডিস্ক ডিগার অ্যাপ’।
  • প্রথমেই গুগল প্লে-স্টোর থেকে Disk Digger App ইনস্টল করে নিন।
  • অ্যাপসটি ব্যবহার করার আগে সতর্কীকরণটা মাথায় রাখুন, এটা শুধুমাত্র রুটেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রেই কাজ করবে।
  • অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট কর‍ার নিয়ম গুগল ঘেটে জেনে নিতে পারেন।
  • যাদের ফোন ইতিমধ্যেই রুট করা আছে। তারা ডিলেটকৃত ফোল্ডারগুলো সিলেক্ট করুন।
  • ফাইল টাইপ সিলেক্ট করুন। যেমন – JPG, PNG, 3gp বা Mp4
  • সিলেক্ট করা শেষে সেভ বাটনে ক্লিক করা ফাইলগুলো তৎক্ষণাত রিকভার করে ফেলতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে যখন কোনো ফাইল ডিলেট হয়, তখন সিস্টেমে শুধু তথ্যগুলো মুছে যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই ফাইল স্পেসে অন্যকিছু ওভাররাইট হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে। তাই ডিলেট হওয়া ফাইল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফোনে বড় আকারের ফাইল সেভ করা ও কোনোপ্রকার সিস্টেম আপডেট নেয়া থেকে বিরত থাকুন।

‘মাশরাফির সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছি’

‘মাশরাফির সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছি’

সোমবার কি বাংলাদেশের জন্য ভালো ছিল নাকি খুব একটা ভালো নয়? বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্যও ‘হা’ অথবা ‘না’ উত্তর দেয়া কঠিন। তাদের খুশী হওয়া উচিত কারন তাদের দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেয়ে আসরে টিকে আছে।
একই সাথে তারা দলের ব্যাটিং পারফর্মেন্সে হতাশ হবে। আমাকে বলতেই হচ্ছে, আমি কিছুটা হলেও অবাক হয়েছি মাশরাফির টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ার সিদ্ধান্তে।
খেলা শুরু হওয়ার আগে আকাশে মেঘ আনাগোনা করছিল আর ফাস্ট বোলারদের মুখিয়ে ছিল কন্ডিশন সুবিধা লুটে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশি বোলাররা দ্রুতগতির না হলে অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডারকে বিপাকে ফেলতে পারতো তারা।
এমনকি বিকেল বেলায় ব্যাট করতে নামা অজিদের জন্য কাজটা সহজ হতে দেয় নি বোলাররা। আগে বল করলে আরও আল করতে পারত বোলাররা।
মাশরাফি আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের দুটি কারন হতে পারে। প্রথমত, বৃষ্টি যে কোন সময় আসতে পারতো আর দ্বিতীয়ত, উইকেটটি আগের ম্যাচে একবার ব্যবহার হয়েছে তাই আগে ব্যাট করে ফায়দা নিতে চেয়েছিলেন।
তবে বৃষ্টির কারনে আগে পরে ব্যাট করাই শ্রেয় মনে হতো। কিন্তু সময় বদলেছে। মাশরাফি হয়তো চেয়েছিলেন স্কোরবোর্ডে রান তুলে ব্যবহৃত উইকেটে রান আটকে রাখতে। হয়তো তখন সাকিব ও মিরাজের স্পিন ধরতো।
আমি দেখে খুশী হয়েছি, বাংলাদেশ একজন অতিরিক্ত বোলার খেলিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না ম্যাচে খুব একটা পার্থক্য তৈরি হতো।
-লিখেছেন হাবিবুল বাশার (সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক)

বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচও যদি বৃষ্টি কারনে পরিত্যক্ত হয় কোন দল যাবে সেমিফাইনালে

বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচও যদি বৃষ্টি কারনে পরিত্যক্ত হয় কোন দল যাবে সেমিফাইনালে

কঠিন এক সমীকরণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ এ এর সকল দল। গতকাল নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চল করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে পরবর্তী দল হিসাবে কোন দল যাবে এখানো নিশ্চত নয়। বাংলাদেশ, নিউ জিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া তিন দলেরই রয়েছে সেমিতে উঠার সুয়োগ।
৯ জুন নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে আর ১০ জুন ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে সেমিতে চলে যাবে বাংলাদেশ। বাদ পড়বে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
তবে খেলার থেকে অালোচিত বিষয় লন্ডনের অাবহাওয়া। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৯ জুন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। ঐ ম্যাচে যদি বৃষ্টি নামে তাহলে কোন দল যাবে সেমিতে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভব্যনা বেশী। তার কারন রান রেট পয়েন্টে কিউদের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। তাই নিউ জিল্যান্ডকে পিছনে ফেলে সেমিতে চলে যাবে বাংলাদেশ।
তবে অবশ্যই পরের দিন ১০ জুন ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ যাবে সেমিতে। অার যদি ঐ ম্যাচও বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হয় তাহলে অস্ট্রেলিয়া কনো ম্যাচ না জিতে চলে যাবে সেমিতে। অার যদি নিউ জিল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশ জয়লাভ করে এবং ইংল্যান্ডের-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তবে রান রেট পয়েন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থেকে চলে যাবে সেমিফাইনালে।
আরও পড়ুন : কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় তামিম:
==================================
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মধুর লগ্ন পার করছেন তামিম ইকবাল।  সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তামিমের ধার। বিশেষ করে চলমান বছরে ফর্মের তুঙ্গে আছেন এই ড্যাশিং ওপেনার।  এখন পর্যন্ত নয় ম্যাচের আট ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫৩ রান। রয়েছে ২টি শতক আর ৩টি অর্ধশতক।
যেখানে তামিমের ব্যাটিং গড় ৭৯।  দীর্ঘ দশ বছরের ওডিআই ক্যারিয়ারে এতটা ভালো সময় বোধহয় চোখে দেখেননি তামিম। ধারাবাহিক নৈপুণ্য তাকে সেরার আসনে বসিয়েছে। তার আগে ২০১৫ সালটা দারুণ কাটে তামিমের।  তখন তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৬.৩৭।  ওই বছর ১৮টি ম্যাচে ৭৪২ রান করেন তামিম।  সর্বোচ্চ ইনিংস ১৩২।  ছিল ২টি শতক আর ৫টি অর্ধশতকের ইনিংস।  অবশ্য তামিমের ২০১৬ ছিল সাদামাটা।  ৯ ম্যাচে ৪০৭ রানের পাশাপাশি ১টি শতক আর ২টি অর্ধশতক হাঁকান তামিম।  ব্যাটিং গড় ৪৫.২২।
সম্প্রতি নজরকাড়া ব্যাটিংয়ের সুবাধে একটা জায়গায় বিরাট কোহলিকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তামিম।  এ বছর অদ্যবধি ৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ভারতীয় দলনেতা।  রান করেছেন ২৬৬।  রয়েছে ১টি শতক আর ২টি অর্ধ শতক।
কোহলির ব্যাটিং গড় ৮৮.৬৬।  যদিও তামিমের চেয়ে খুব কম ম্যাচ খেলেছেন কোহলি।  ব্যাটিং গড়ের দিক থেকে কোহলিকে ছোঁয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হলেও ওয়ানডের নাম্বার ওয়ান ব্যাটসম্যান এভিডি ভিলিয়ার্সকে ঠিকই পেছনে ফেলেছেন তামিম।  এখন পর্যন্ত চলমান বছরে ১৪ ম্যাচে ৫৬১ রান করেছেন ভিলিয়ার্স।  তার ব্যাটিং গড় ৬২.৩৩।
আরও পড়ুন : চ্যাম্পিয়ন ট্রপির ভরসার প্রতীক তামিম ইকবাল :
————————————————————
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলের সব ব্যাটিং দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এভাবে আর কত দিন দলের সব বিপদে একা বুক চিতিয়ে লড়ে যাবেন? ব্যাটিং স্বর্গ হোক বা পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেট কিংবা পেস বান্ধব পিচ, দলের হাল যেন তাকেই ধরতে হয় এবং তিনি ধরেনও।
বাংলাদেশ দলের ওপেনিং পেয়ার গুলোর দিকে একবার তাকিয়ে আসা যাক। নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ তামিমের সমসাময়িক বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সাল থেকে এখন এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত প্রায় ১১ বছরে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গীদের তালিকাটা দেখে নিই- শাহরিয়ার নাফিস,  জাভেদ ওমর,  মেহরাব হোসেন অপি, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকি, মুশফিকুর রহিম, নাঈম ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাজিমুদ্দিন, এনামুল হক বিজয়, শামসুর রহমান শুভ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস। মোটমাট চৌদ্দ জন ওপেনার। এত নাম দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই এরকম হয়তো আরও অনেকে আসবেন-যাবেন। কিন্তু তামিম ইকবাল আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, ভবিষ্যতেও আরও অনেকটা সময় থাকবেন। কারণ তিনি যে ‘তামিম ইকবাল’।
তামিমের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এখন পর্যন্ত ওপেন করেছেন আরেক বাঁ-হাতি ইমরুল কায়েস, মোট ৪৭ ইনিংসে। এখন অবশ্য তামিমের পার্টনার কাগজে-কলমে সৌম্য সরকার। বাকি যারা ছিলেন তাদের মধ্যে এখনো আশা বেঁচে আছে শুধু আনামুল হক বিজয় আর লিটন দাশের। গুঞ্জন আছে, প্রথমজন কোচের পছন্দের তালিকায় নেই, আর দ্বিতীয়জন সহজ ভাষায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ নিতে ব্যর্থ যথেষ্ট সুযোগ পাওয়ার পরও।
সৌম্যর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অর্থাৎ যখন তিনি ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ডাক পান তখনই নিজের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি অতিমাত্রায় অধারাবাহিক। এক-দুই ম্যাচ ভালো খেলার পর আট-দশ ম্যাচ যেন তার ভেতর ভূত চেপে বসে! তিনি যেন খেলা ভুলে যান, উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তারপর হঠাৎ হয়তো একদিন ঝলকে ওঠেন। তাও ওই এক-দুই ম্যাচ। এখন পর্যন্ত এ রকমই হয়ে আসছে। অধারাবাহিকতার প্রতিলিপি। কোনো কোনো ম্যাচে তাকে ওপেনার তো দূর, একদম আনকোরা ব্যাটসম্যান লাগে, তার ফুটওয়ার্কে যে এখনো সমস্যা রয়ে গেছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইমরুল কায়েস আসেন-যান, আবার আসেন। দলে তার অবস্থান অনেকটা এমনই এখন। আরও খোলাখুলিভাবে বললে, বর্তমান সময়ে সৌম্যর বদলি যেন তিনি। সৌম্য সরকার কয়েক ম্যাচ খারাপ খেললে ইমরুল কায়েসকে নামিয়ে দেওয়া হয়- এমনটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমরুল সেভাবে কিছু করে না দেখাতে পারলে আবার সৌম্যকে মূল একাদশে সুযোগ করে দেওয়া হয়!
সাদামাটা ইমরুলের প্রতি আবার টাইগার ফ্যানদের ফিডব্যাক হলো তিনি নাকি মোটেও সাহসী নন! চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের বিপক্ষেই ম্যাচ শেষে তাকে নিয়ে ঘোরতর অভিযোগ- তিনি ব্যাট হাতে ক্রিজে দাঁড়ালেই হাত-পা কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেন!
দলের ব্যাটিং হাল তাই তামিমকেই ধরতে হয়। ভালো অনেকেই খেলেন, কেউ নিয়মিত আর কেউ অনিয়মিত। এমন না হলে কেউই দলে জায়গা পেতেন না। কিন্তু দায়িত্ববোধ যে দলের সবার মধ্যে সেভাবে হয়ে ওঠেনি সেটা দলের অধিকতর ভালো বলে পরিচিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তামিমের তুলনা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। নিজের স্বভাবসিদ্ধ হার্ডহিটিং মারকাট ব্যাটিং সংযত করে তিনি যে অন্যদের মতোন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন না, এটাই টাইগার ভক্তদের জন্য এই মুহূর্তে অন্যতম একটা ভরসা।-ঢাকা টাইমস।

যে সমীকরণে সেমিতে খেলবে বাংলাদেশখেলাঃ

‘এ’ গ্রুপে একমাত্র জয় পাওয়া দল ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ২। নিউজিল্যান্ডের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ২। বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় এক ম্যাচ খেলা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্টও ১।আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের পয়েন্ট ১। মানে এখন ৪ দলেরই সম্ভাবনা আছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।
গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে অবশ্য দুটো দল যেতে পারবে শেষ চারে। এই মুহূর্তে জায়গা দুটির একটির জন্য ফেভারিট ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে এখন এই ইংলিশদের জন্যই বসতে হবে প্রার্থনায়।
কারণ স্বাগতিকরা বাকি থাকা দুটো ম্যাচ যদি জিতে যায় নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তাহলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা হবে উজ্জ্বল। তখন শেষ ম্যাচে টাইগাররা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেই উঠে যাবে সেমিফাইনালে। কিউইদের হারালে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৩, আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড হেরে গেলে তাদের পয়েন্ট থাকবে এখনকার মতোই যথাক্রমে- ২ ও ১। তাই ৩ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠে যাবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে।সবই অবশ্য ‘যদি’, ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছে এখন। তবে এই হিসাবটাও থাকতো না যদি ওভালে আশীর্বাদ হয়ে না আসতো বৃষ্টি।এখন দেখার পালা এ বৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য কতটুকু আর্শিবাদ হয়ে এসেছে

Sunday, June 4, 2017

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার (আজ) সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি দুই দলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ, তবে বাংলাদেশের জন্য বেশি। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে হেরে বাঁচা মরার লড়াইয়ে তারা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের জয়ের বিকল্প নেই। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া না জিতলে গ্রুপ পেরোনো তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির বাঁধায় এক পয়েন্ট নিয়ে জটিল সমীকরণের সামনে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে লন্ডনের আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে এ ম্যাচও পড়তে পারে বৃষ্টির কবলে। তাই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি কিংবা ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির কঠিন হিসাব নিকাশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ওভালের কেনিংটনে দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে আশা জাগিয়ে হারলেও আরেক শক্ত প্রতিপক্ষ অজিদের বিপক্ষে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে মাশরাফিরা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না অস্ট্রেলিয়াও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান মোটেও ভালো নয়। ১৯ বারের মুখোমুখিতে এখন পর্যন্ত ১টি মাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছে লাল-সবুজরা। সেই জয়টি অবশ্য এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই। ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের দ্বিতীয় সেই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের বীরোচিত সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ। মাশরাফি অবশ্য ওই ম্যাচের স্মৃতিতে প্রেরণা নিলেও নতুন ম্যাচে নতুন কিছু করার উপরই বিশ্বাস রাখছেন।
এছাড়া দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে। যদিও বৃষ্টির কারণে ব্যাট-বলের লড়াই মাঠে নামতে পারেনি কেউই।
আগের ম্যাচে আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে সমালোচনায় পড়েছিল মাশরাফিরা। আজ নিশ্চয়ই সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও সরাসরি কিছু জানাননি মাশরাফি। তারপরও তিনি একজন বোলার বাড়ানোর ইঙ্গিত বেশ ভালোভাবেই রাখলেন।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের কোনও বোলারই সেভাবে সাফল্য পায়নি। মাশরাফি তার বোলারদের কাছ থেকে সেরা কিছু চান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কার্ডিফের ম্যাচ ছাড়া বার্মিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচও বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হতে পারে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছে বাংলাদেশ। সেই কিউইরাই ৫৩ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
মাশরাফিদের জন্য দু:চিন্তার নাম সাকিবের সেরা ফর্ম না থাকা। মাশরাফি অবশ্য মনে করেন সাকিব সেরা ফর্মে না ফিরলে অন্যদের বাড়তি দায়িত্ব তুলে নিতে হবে। সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াই মাশরাফির লক্ষ্য জয়, ‘জয়টা কঠিন হলেও আমাদের সামনে এছাড়া ভিন্ন কোনও পথ খোলা নেই। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে গেলে জিততেই হবে আমাদের।’
অস্ট্রেলিয়ান দলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের মতো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান রয়েছে। যারা একাই ব্যাট হাতে ম্যাচের চিত্রনাট্য বদলে দিতে পারেন। এমনকি বোলিং আক্রমণও ভারসাম্যপূর্ণ অজিদের। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সের বল যেন এক একটি আগুনের গোলা। এমন বোলিংয়ে বিপক্ষে তামিম-মুশফিকদের লড়াইটা তাই কেমন হয় সেটাই প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘দুই দলের কেউই আশা করছে না এ ম্যাচটাও পরিত্যক্ত হোক। এখন আমাদের জন্য প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল। এ রকম টুর্নামেন্টে কোনও ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে বা হেরে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ কমই থাকে। সুতরাং যে করেই হোক আমাদের জিততে হবে।’

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুলতানা কামালকে গ্রেফতার করুন: হেফাজত

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুলতানা কামালকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মসজিদগুলোয় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন, প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মসজিদ বানাবেন ঘোষণা দিন। সুলতানা কামালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করুন। না হয় তাকে তসলিমা নাসরিনের মতো দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিন। সুলতানা কামালের দেশ বাংলাদেশ নয়।’ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান।   

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘সাহস কত সুলতানা কামালের! তিনি বলেছেন, ভাস্কর্য  থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেওয়া হবে না। সুলতানা কামাল রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-গোস্ত রাখা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বদরের যুদ্ধ কিন্তু রমজান মাসে হয়েছে। মক্কায় যত মূর্তি সরানো হয়েছে, সেটা রমজান মাসেই সরানোর হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি মূর্তি কি এখান থেকে সরাবেন? নাকি আমরা আসব? যদি আমাদের আসতে হয়, বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপ ছাড়া আর কোথাও মূর্তি রাখা হবে না।  প্রশাসন ও সরকারকে বলতে চাই, আমরা যে আসতে পারি, আপনাদের নিশ্চয় তা জানা আছে। ২৪ ঘণ্টায় কোটি মানুষ ঘেরাও করবে হাই কোর্ট। মেহেরববানি করে আমাদের আসতে বাধ্য করবেন না। আমরা যে দিন আসব, পুলিশ ঠেকাতে পারবে না। আমরা যে দিন  আসব, কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে আসব।’ 
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি মূর্তির পক্ষে, অন্যটি মূর্তির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের কোন স্থানেই মূর্তি থাকতে দেওয়া হবে না।’  হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন,  ‘সেদিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন, প্রয়োজনে আল্লামা আহমদ শফী ডাক দেবেন। এ দেশের আলেম সমাজ রাজপথে নামবে। থেমিসের গলা রশি বেঁধে প্রয়োজনে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে।’


ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কলা ঝুলিয়ে মুলা খাওয়ালেন। তিন চারজন লোকের কারণে আপনার ভোট বাক্স কমছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে আশা করবেন না। আগামী নির্বাচনে স্বয়ং মোদি  এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না।’
সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন,  ‘প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। তিনি বিচারপতি থাকতে পারেন না।  সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে। যদি অপসারণ না করা হয়, তবে তৌহিদি জনতা ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি আর মূর্তি পূজকদের বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে বাধ্য হবে।’
মাওলান ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওরা বলে ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস না। মূর্তির চেয়ে ভাস্কর্য আরও খারাপ। মূর্তির পূজা করে সামান্য গুটি কয়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের।  আর ভাস্কর্য পূজা করে মৃণাল হক, সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির, ইমরান এইচ সরকাররা। এসব নাস্তিক-মুরতাদ ভাস্কর্য পূজা করে। এসব ডিজিটাল নাস্তিককে বাংলার জমিন থেকে ভাস্বর্যসহ ভারতে পাচার করে দেওয়া হবে। মৃণাল হক সুপ্রিম কোর্টের সামনে জঙ্গিবাদ শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের  সামনে দেবীর হাতে তরবারি দিয়েছে। এদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, ‘গ্রিক দেবী অপসারণের কারণে আমার গত শুক্রবার ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু  অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আজ আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হতে হয়েছি। মূর্তি অপসারণের পর আবার প্রতিস্থাপন তামাশা, এছাড়া আর কিছু নয়। অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করা হোক, না হলে রমজানের পরে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী, জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিশ্বাসী না।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুফতি মাহফুজুল হক, মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, আতাউল্লাহ আমিন, হাকিম আব্দুল করিম প্রমুখ।

mahmud

bakhtiar